বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা: কিছু সংস্কার ভাবনা

নির্বাচন পদ্ধতি: সংখ্যাধিক্য নাকি আনুপাতিক
বাংলাদেশে প্রধান দুটি দলই তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সুধিধার কথা বিবেচনা করে বিদ্যমান সংখ্যাধিক্য পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়, যদিও জাতীয় পার্টি এবং কমিউনিস্ট পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি দল দেশে আনুপাতিক পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ পদ্ধতি বহাল থাকলে দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা আরও গাঢ় হবে, রাজনীতিতে সংঘর্ষ ও পেশিশক্তির ব্যবহার বাড়বে, সর্বোপরি আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আরও দুর্বল হবে।

সংখ্যাধিক্য পদ্ধতির বিভিন্ন দুর্বলতার বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। তবে এ ব্যবস্থারও কিছু দুর্বলতা থাকায় এখন জার্মানিসহ কিছু দেশ মিশ্র নির্বাচন পদ্ধতি অনুসরণ করছে। নেপালেও মিশ্র পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সেটি হচ্ছে সদস্যদের একাংশ এলাকাভিত্তিক, অপরাংশ সংখ্যানুপাতিকভাবে নির্বাচিত হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হতে পারে ৩০০ আসনের এলাকাভিত্তিক ১৫০ ও সংখ্যানুপাতিক ১৫০। এক্ষেত্রে নির্বাচকদের দুই ভোট থাকবে। এক ভোট দেবে এলাকার প্রার্থীকে, অপর ভোট দলকে। তখন দেখা যাবেÑ ১৫০ জন এলাকাভিত্তিক ও ১৫০ জন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি। দুইয়ের সমন্বয়ে সংসদ হবে।

গণভোট
বাংলাদেশের বিগত নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ সরকারই সংখ্যালঘিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত। একবার সরকার নির্বাচিত হলে পুরো পাঁচ বছরই তারা দেশ শাসন করে। জনগণের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকে না। ধরে নেয়া হয়, ভোটাররা নির্বাচিত রাজনৈতিক দলকে ম্যান্ডেট দিয়েছে দেশ শাসন করার জন্য। অর্থাৎ ভোটের দিন জনগণ রাজা আর বাকি পাঁছ বছর তাদের নামে জনপ্রতিনিধিরা দেশ চালায়। এতে করে দেশে নতুন সমস্যা বা নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হলেও তারা জনগণের কাছ থেকে নতুন করে ম্যান্ডেট গ্রহণ করে না। অর্থাৎ বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের বাইরে গণভোট, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার (জবপধষষ) এবং প্রতিনিধিদের মেয়াদ হ্রাস ইত্যাদি ব্যবস্থা নেই।

পৃথিবীর অনেক দেশের সংবিধানেই (সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া) গণভোটের বিষয়টি রয়েছে। বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে গণভোট সম্পর্কে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:
ক. সংবিধান সংশোধন করে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
খ. সরকার যে কোনো সময় গণভোটের ব্যবস্থা করতে পারে। তবে জনগণের অংশগ্রহণে গণভোট দু বছরে একবার অনুষ্ঠিত হবে।
গ. সংসদে এ সম্পর্কিত আইন পাশ করতে হবে।
ঘ. গণভোটের ফলাফল মানা সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।

প্রসঙ্গত, পৃথিবীর কয়েকটি দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যাহার (রিকল) ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কোনো দেশে নির্বাচিত সরকারকে প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা নেই। কারণ এরফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রিকল পদ্ধতি প্রবর্তন করা যুক্তিযুক্ত হবে না বলেই নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

নির্বাচনকালীন সরকার
একটি দেশে কী ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থাকবে তার নির্ভর করে সে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। সাধারণত যেসব দেশে গণতন্ত্র সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত সেসব দেশে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মাথাব্যথা নেই, দলীয় সরকারের অধীনেই (যদিও নির্বাচনের সময় সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে রাজনৈতিক দলগুলো মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্র চর্চা কম, বরং গণতন্ত্র বিশেষ করে নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতায় যাওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। দলগুলোর একে অপরকে বিশ্বাস ও আস্থা কম। তাই দেখা যায়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

স্বাধীনতার পর সামরিক সরকারগুলো নির্বাচনের সময় ব্যাপক হস্তক্ষেপ চালায়। যে কারণে ১৯৯১ সালে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের গণআন্দোলনের মুখে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় সরকারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যাতে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে তিন মাসের নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে উপদেষ্টা পরিষদ বা সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়। এ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনকে স্বাধীন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো। যদিও পরাজিত দল নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছিল। ২০০০ সালে ইউএনডিপি তাদের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নতুন গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়যাত্রারূপে (ধহ রসঢ়ড়ৎঃধহঃ ধফাধহপব রহ হবি ফবসড়পৎধপু) বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বিশেষ ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তৈরির প্রেক্ষাপটে ২০০৬ সালের নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করে তোলেন। ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

১০ মে, ২০১১ সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন। আদালত ত্রয়োদশ সংশোধনীকে সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তা বাতিল ঘোষণা করেন। তবে আদালত বলেছেন, শান্তি-শৃঙ্খলা ও ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে আগামী দুটি সাধারণ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। একইসঙ্গে বিচার বিভাগকে এর সঙ্গে না জড়ানোর পক্ষে মত দেয়। পরে এ রায়ের আলোকে ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধান থেকে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে চালু করা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর দশম নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে দেখা দেওয়া অনিশ্চয়তা। দেখা যায়, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে প্রায় বিএনপি-সহ ৭০ শতাংশ রাজনৈতিক দল ঐ নির্বাচন বর্জন করে। এ অবস্থায় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বাংলাদেশে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রায় আসন্ন। তাই ভবিষ্যতে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা কী হতে পারে সে জরুরি ভিত্তিতে আলাপ ওঠা জরুরি।

আমরা জানি, পৃথিবীর অনেক দেশেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটাও বলা হয় যে, নির্দলীয় সরকার গণতান্ত্রিক ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। এ যুক্তিগুলো সঠিক। কিন্তু শুধুমাত্র উপরিউক্ত যুক্তির ভিত্তিতেই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা দরকার নেই, এমন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। কারণগুলো হলো:
১. প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা অসীম: বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা অসীম। বাংলাদেশ এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পুরো পুলিশ বাহিনী তার অধীনে থাকে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রধানমন্ত্রীর অসীম ক্ষমতা নির্বাচনের ওপর অশুভ প্রভাব ফেলতে পারে;
২. সরকারপ্রধান দলের প্রধান: বাংলাদেশের সরকার একইসঙ্গে দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব হলো– ‘ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বর্শবর্তী না হয়ে সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করা’। অথচ দলীয় প্রধান হিসেবে সাধারণত তিনি দলের লোকদের সুবিধা দেখবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই নির্বাচনের সময় স্বার্থের সংঘাত হবে–এটাও স্বাভাবিক।
৩. আমলাতন্ত্রের রাজনীতিকরণ: বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। দু ভাগে বিভক্ত হয়ে কেউ সরকারের অনুগত থাকে, আবার কেউ সরকারের বিরোধী থাকে। তাই যতদিন না পর্যন্ত আমলাতন্ত্রের রাজনীতিকরণ বন্ধ না হবে ততদিন পর্যন্ত নির্দলীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা থাকবে।
৪. রাজনৈতিক সংস্কৃতি: বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের প্রতি সহিষ্ণু নয়। এরফলে দলগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে তৎপর থাকে। সুতরাং উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতি তথা উদার রাজনৈতিক দল ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
৫. নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ববিদ্ধ সক্ষমতা: সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের অগাধ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু কমিশন তার ক্ষমতা সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে না। একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে প্রায় ১৫ লাখ জনশক্তির (কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) দরকার হয়। কিন্তু এঁরা কমিশনের কর্মকতা নন। সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এঁদের পরিচালনা করা এবং এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের অত্যন্ত সীমিত। এ রকম একটি অবস্থায় দেশে এমন সরকার থাকা আবশ্যক, যারা নির্বাচনের কমিশনের সাথে একযোগে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন করতে চায়।

এ অবস্থায় রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে ড. আকবর আলি খান তাঁর ‘অবাক বাংলাদেশ বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি’ গ্রন্থে তাত্ত্বিকভাবে চার ধরনের নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন:
১. অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
২. সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
৩. নির্বাচন ঘোষণার সময়ে যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, সেই সরকার কর্তৃক নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন।
৪. নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার জন্য সরকার ও বিরোধী দল কর্তৃক মনোনীত মন্ত্রীদের দেশ পরিচালনা করা।

এরমধ্যে বর্তমান সংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই ৪নং অর্থাৎ নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার জন্য সরকার ও বিরোধী দল কর্তৃক মনোনীত মন্ত্রীদের দ্বারা অথবা প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্যের ভিত্তিতে দশজন প্রতিনিধি নিয়ে দেশ পরিচালনা করা যেতে পারে, যাতে নির্বাচনকে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় এবং নির্বাচনের মাঠে সবার জন্য সমতা নিশ্চিত করা।

শেষকথা
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আপোষের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল না হওয়ায় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ বর্তমান সংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পরবর্তী মেয়াদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই। এই বিধান বহাল রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ বা সবার জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা দুরূহ হবে। আর সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ অতীতে যে কয়টি নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে তার সবগুলোতেই ক্ষমতাসীন দল জয়লাভ করেছে। কারণ এ ব্যবস্থায় বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। আর যে কয়টি নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সবগুলোই সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দল পরাজিত হয়েছে। তাই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়া জরুরি, যাতে নির্বাচনী মাঠের সমতল ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং একটি Win Win Situation তৈরি হয়।

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published.