‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও মানবিক চেতনা বিকাশে উচ্চশিক্ষা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ১ জুলাই পালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯২১ সালের ১ জুলাই পূর্ববঙ্গের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৯৫ বছর পার করলো।
বৃটিশ উপনিবেশ নিয়ন্ত্রিত সমাজে স্বাধীন, স্বাবলম্বী জাতিসত্তা বিনির্মাণের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯৯১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ায় পূর্ববঙ্গের বিশেষত মুসলিম সমাজের মধ্যে যেক’টি দাবি খুব আলোচিত হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। ১৯১২ সালে ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় এলে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ও শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ৩১ জানুয়ারি ভাইসরয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতে মিলিত হন। তাঁরা পূর্ববঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা ও দাবি উপস্থাপন করেন। লর্ড হার্ডিঞ্জ এতে ইতিবাচক সাড়া দেন। ১৯১২ সালের ২ ফেব্র“য়ারি প্রকাশিত এক সরকারি ঘোষণায় ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি স্বীকৃত হয়।
১৯১২ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নাথান কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ মতবিনিময়, আলাপ, আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের পর এ কমিশন ঢাকায় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করে। ১৯২০ সালে ভারতীয় আইনসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস করা হয়। এর ফলে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনগত ভিত্তি স্থাপিত হয়। ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর পি. জে হার্টজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
ঢাকা শহরের রমনা এলাকার ৬০০ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ১৯২১ সালের ১ জুলাই থেকে ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে এ প্রতিষ্ঠান তার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। ছাত্র-শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড অভিধায় ভূষিত হয়। তৎকালীন পূর্ব বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ায় ঔপনিবেশিক মানসিকতামুক্ত নতুন শ্রেণি সৃষ্টির পথ প্রশস্ত হয়। শিক্ষাকে কেবল বুদ্ধিবৃত্তির বাহন হিসেবে নয়, সমাজ ও মানুষের সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে শিক্ষার প্রয়োগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে ওঠে। সমাজের সীমিত সংখ্যক মানুষের শিক্ষার সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ছিল না। বিশ্বজ্ঞানের সঙ্গে ব্যক্তিমনের সমন্বয় ঘটানোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা এবং রাজনীতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান ও চর্চার ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তা-চেতনার গভীরে শেকড় সঞ্চার করেই বিকশিত হয়েছে আমাদের জাতিসত্তা ও স্বাধিকার চেতনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁদের কীর্তি ও খ্যাতি ধ্র“বপদের মতো আজো উচ্চারিত হয় তাদের কয়েকজন হলেনÑ সত্যেন বসু, হরপ্রাসাদ শাস্ত্রী, রমেশচন্দ্র মজুমদার, ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা এবং অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামের উৎস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানÑসেখানেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। পঞ্চাশের দশকে ঔপনিবেশিক শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পূর্ব বাংলার জনগণের মাতৃভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে সেখানকার আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক তাৎপর্যময় ঘটনা। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের বৃহত্তর রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতি দানের জন্য যে মরণপণ সংগ্রাম সূচিত হয় তার সঙ্গে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সুগভীর সম্পর্ক। একইভাবে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অসামান্য।
১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাকিস্তান সরকার এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর আঘাত হানলে ছাত্র-জনতা দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনসহ ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন পরিণত হয় জাতীয় আন্দোলনে। পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের জন্য ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা। অভূতপূর্ব এ আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিলে স্বৈরশাসনের অবসান হয়।
পূর্ব বাংলার মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২ মার্চ প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। ১৯৭১ এর মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলনের দিনগুলোতে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কার্যাবলী পরিচালিত হতো সার্জেন্ট জহুরুল হক হল থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড সত্ত্বেও তারা দমে না গিয়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেন। ছিনিয়ে আনেন বাংলার স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য।
এরপর ১৯৮২ ও ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন ও জাতীয় বিভিন্ন দুর্যোগকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় জাতির নির্দেশকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাস এক এবং অভিন্ন। নদীর সঙ্গে নগরের যেমন সম্পর্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক তেমনি। নদী না থাকলে যেমন ঢাকা নগরী গড়ে উঠতো না, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশ নামক সমাজ ও রাষ্ট্রের এতো উন্নতি হতো কিনা সন্দেহ।
এতো গেলো বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং জাতি গঠনে এর ভূমিকা। কিন্তু ৯৪ বছর পর শিক্ষার মানের দিক থেকে কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগুলো না পিছালো? অনেকের মতে, বৃদ্ধ বয়সে মানবদেহ যেমনিভাবে নানা রোগে ভোগে, ক্ষয়ে যায় জীবনীশক্তি ঠিক তেমন অবস্থা যেন আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও। স্বাধীনতার পর থেকে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তার মনের মতো চলতে চলতে প্রায় স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে একদা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনেকের মতে, এখন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া মান আগের মত নেই। এক সময় প্রকৃত অর্থেই কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীরা বসার জায়গা পেত না। হ্যাঁ বর্তমানেও সেখানে সিট পাওয়া যায় না, কারণ বেশিরভাগ সিটই দখল করেন রাখেন বিসিএস পরীক্ষারা। তবে কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং সেন্টারে পরিণত হতে চলেছে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রতিবছরই প্রচুরসংখ্যক শিক্ষার্থী ড্রপ আউট হয়ে যায়। এ ড্রপ আউটের কারণ কী বা ড্রপ আউট হওয়া শিক্ষার্থীরা কোথায় যাচ্ছে এসবের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাই সাধারণত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তাছাড়া জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার চেয়ে নোটবই মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাশ করাই যেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র উদ্দেশ্য। হ্যাঁ ব্যতিক্রম যে নেই তা আমি বলছি না।
এতো গেল পড়াশুনার মানের কথা। গবেষণার অবস্থাও বেহাল। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। অথচ এ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণা বাবদ বরাদ্দ রেখেছে মোট বাজেটের মাত্র ১ শতাংশ, শিক্ষায় বরাদ্দ দিয়েছে ১১ শতাংশ। অর্থাৎ গবেষণার জন্য অর্থ না মিললেও প্রতিবছরই নতুন নতুন ভবন ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৯টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও গত ৯৪ বছরে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্ম সম্পাদিত হয়নি। অর্থের অভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকেন্দ্রগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। অথচ গবেষণা এবং নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ। ১৯২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা যাত্রা শুরু করে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮৯ বছরে ১৬৩টি পুস্তক ছাপিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতেও নতুন বইয়ের সংগ্রহ কমে গেছে।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি বড় সমস্যা হলো সেশন-জট। সেশন-জটের কবলে পড়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি স্বায়ত্তশাসিত হলেও, সরকারের ইঙ্গিত ছাড়া এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় না। বিভিন্ন সরকারের সবুজ সঙ্কেতের অভাবে ১৯৯০ সালের পর থেকে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। অছাত্র, বহিরাগত ক্যাডার বা ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্টরা নিয়ন্ত্রণ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম। ফলে নতুন নেতৃত্বও সৃষ্টি হচ্ছে না।
পরিশেষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দায়িত্ব ছিল জ্ঞানের বিস্তার ও নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কী এসব দায়িত্ব পালন করছে যথাযথভাবে? আজ এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে। দেশের ক্রান্তিকালে বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পালন করেছে প্রধান ভূমিকা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও দেশ গঠন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বা অধিকার আদায়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল কেন্দ্রবিন্দু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমাদের আশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব জরাব্যাধি ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য ও সৃষ্টিশীলতা।