বিদ্যুৎ খাতের হাল-হাকিকত

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। এ সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও রাষ্ট্র আকারে আমাদের সার্বিক অর্জন অনেক ক্ষেত্রেই আশাপ্রদ। এ সময় দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে, বেড়েছে মাথাপিছু আয়, দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে মানব উন্নয়ন সূচকে। বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নাম লিখিয়েছে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায়। এ রকম একটি অবস্থায় আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে প্রয়োজন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

চাহিদার বিপরীতে যোগান অপ্রতুল: ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন
২০১০ সালে ২০ বছর মেয়াদি বিদ্যুতের মহপরিকল্পনা তথা পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ প্রণয়ন করা হয়। এ পরিকল্পনায় আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ধরে বিদ্যুতের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ চাহিদা ১১,৪০৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে পিক আওয়ারে গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। তাই বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১০ অনুযায়ী বছরভিত্তিক বিদ্যুতের চাহিদা:
সাল/বছর     পিক চাহিদা (মেগাওয়াট)
২০১০                    ৬,৪৫৪
২০১৫                   ১০,২৮৩
২০১৬                   ১১,৪০৫
২০১৭                    ১২৬৪৪
২০২০                    ১৭,৩০৪
২০২৫                    ২৫,১৯৯
২০৩০                  ৩৩,৭০৮

বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিত্র:
বিদ্যুৎ সংযোগের বিপরীতে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু সর্বশেষ ৭ জুন ২০১৬, পিক আওয়ারে (বিকাল ৫.০০টা থেকে রাত ১১.০০টা) ৭,১৬৩ মেগাওয়াট এবং অপ-পিক আওয়ারে ৮,৩৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। যদিও বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা (ওহংঃধষষবফ এবহবৎধঃরড়হ ঈধঢ়ধপরঃু) রয়েছে ১২,৩৩৯ মেগাওয়াট (মে ২০১৬)। ২০০৯ সালে যে সক্ষমতা ছিল মাত্র ৪,৯৪২ মেগাওয়াট। তবে বর্তমানে প্রকৃত উৎপাদন সক্ষমতা (উবৎধঃবফ এবহবৎধঃরড়হ ঈধঢ়ধপরঃু) হলো ১১ হাজার ৭৪৪ মেগাওয়াট। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদ্যুতায়নের আওতায় রয়েছেন দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৪ ভাগ মানুষ।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড:
বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। ৯ জুন (২০১৬) ৮,৪৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এই নতুন রেকর্ড করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০০৮ সালে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৪,০৩৬ মেগাওয়াট।

খাতভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিত্র:
বর্তমানে সরকারিভাবে উৎপাদন সক্ষমতা ৬,৪৪০ মেগাওয়াট (৫২%)। এরমধ্যে পিডিবির সক্ষমতা ৪৩২০ মেগাওয়াট। আর বেসরকারিভাবে উৎপাদন সক্ষমতা ৫,৮৯৯ মেগাওয়াট (৪৮%)।

Capture

বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের মহাপরিকল্পনা:
সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১০’ প্রণয়ন করে । এ পরিকল্পনায় দেশের সব মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার জন্য স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। ইতোমধ্যে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাত, যেমন পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), রেন্টাল পাওয়ার প্রডিউসার (আরপিপি) ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট (আইপিপি) নির্মাণকে উৎসাহিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার।

তবে, ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান’ এ ২০১৬ ও ২০২০ সালে বিদ্যুতের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয় যথাক্রমে ১১ হাজার ৪০৫ ও ১৭ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ বিভাগ নতুন মহাপরিকল্পনায় ২০২০ সালে চাহিদা কমিয়ে নির্ধারণ করছে ১২ হাজার ৯৪৯ মেগাওয়াট। আর ২০৩০ সালে বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৩৪ মেগাওয়াট, যা আগের পরিকল্পনায় ধরা হয়েছিল ৩৩ হাজার ৭০৮ মেগাওয়াট। চাহিদার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উত্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও কমানো হচ্ছে নতুন মহাপরিকল্পনায়। এতে বলা হয়েছে, চাহিদা মেটাতে ২০২০ সালে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন করলেই চলবে। আর ২০৩০ সালে উৎ্পাদন করতে হবে ৩০ হাজার ১৭৮ মেগাওয়াট। যদিও বর্তমান পরিকল্পনায় তা ধরা হয়েছে যথাক্রমে ২৩ হাজার ৮০৯ ও ৩৮ হাজার ৬৮৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের চাহিদা না বাড়ার পেছনে যে কয়েকটি কারণ উল্লেখযোগ্য তার মধ্যে অন্যতম হলো, শিল্প খাতে বিদ্যতের চাহিদা না বাড়া। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের বড় খাত পোশাক শিল্পে বিদ্যুতের ব্যবহার তুলনামূলক কম। হালকা প্রকৌশল ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প কিছুটা বিকশিত হলেও রফতানিতে তেমন অবদান রাখতে পারছে না এ খাত। আর ভারী শিল্পের বিকাশও খুব একটা হয়নি। তাই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শিল্প খাতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে না। এছাড়া শহরাঞ্চলেও বিদ্যুতের চাহিদা তেমন একটা বাড়েনি।

Capture

কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ:
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আটটি বড় আকারের ও ১০টি ছোট আকারের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে বাগেরহাট জেলার রামপালে ১,৩২০ মেগাওয়াট ও কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১,৩২০ মেগাওয়াটসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প।

বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে যে কোনো ধরনের অবকাঠামো স্থ’াপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল বিষয়। উপরোক্ত প্রকল্পগুলোর জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত ক্ষতিপূরণ প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়টি সর্বাধিক মনোযোগ না পাওয়া নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। রামপাল প্রকল্পটি সুন্দরবনের নিকটবর্তী হওয়ায় পরিবেশের ঝুঁকির বিষয়ে এই প্রকল্পকে ঘিরে বিভিন্ন পক্ষ উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। এসব প্রকল্পের জন্য প্রণীত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষার যথার্থতা নিয়েও পরিবেশবাদীদের আপত্তি রয়েছে।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন:
বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকার ইতোমধ্যে রাশিয়ার সাথে পাবনার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ কেন্দ্র থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এক হাজার মেগাওয়াট ও ২০২০ সালের মধ্যে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। যদিও এ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের প্রথম পরিকল্পনা করা হয় পাকিস্তান আমলে, ১৯৬১ সালের দিকে। ঐ সরকার বেশকিছু পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৭০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয় ১৯৬৩ সালে। এরপর ১৯৮০ ও ১৯৯৯-২০০৩ সালে এ নিয়ে অনেক দৌঁড়ঝাঁপ হলেও সর্বশেষ ২০০৯ সালেই রাশিয়ার সাথে এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে দুর্ঘটনার হ্রাসের লক্ষ্যে ও পরিবেশগত বিষয় বিবেচনায় এনে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন থেকে বিরত রয়েছে সেখানে বাংলাদেশের মত জনবহুল ও প্রযুক্তির দিক থেকে অনুন্নত রাষ্ট্রে — নিজেদের যেখানে সক্ষমতা নেই- এ বিদ্যুৎ নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। পারমাণবিক প্রকল্পে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করলেও যেকোনো সময় সামান্য ভুলে ঘটে যেতে পারে বড় রকম দুর্ঘটনা। পারমাণবিক প্রকল্পে সবচেয়ে হুমকি ধরা হয় ভূমিকম্পকে। বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্প প্রবণ এবং বন্যাপীড়িত দেশ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এ পারমাণবিক প্রকল্পটি ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে। কিন্তু প্রযুক্তিতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দেশ জাপান নিজস্ব পারমাণবিক প্রকল্পকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়নি। তাই উপরোক্ত প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক থাকছেই।

২০০৯ সাল থেকে ১৩ বার বেড়েছে বিদ্যুতের দাম: দাম বাড়িয়ে ব্যয় সামলানোর চেষ্টা:

Untitled

প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খরচ হতো ২ টাকা ৫৫ পয়সা। সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০১০-১১ অর্থবছরে ৪ টাকা ২০ পয়সা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যয় দাঁড়ায় ৬ টাকা ৭০ পয়সা। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে এ ব্যয় এখন দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৩১ পয়সায়। ছয় বছর আগে পিডিবি পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করতো ২ টাকা ৩০ পয়সা। এখন বিক্রি করছে গড়ে ৪ টাকা ৬৭ পয়সায়।

মূলত, সরকার তার মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র স্থাপন করে অপেক্ষাকৃত কম দামের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। অর্থাৎ গত সাত বছরে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা (প্রায় দ্বিগুণ)।

পিডিবি একটি হিসাব করেছিল এরকম করে যে, ২০১৩-১৪ সালে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় হবে চার টাকা ৩২ পয়সা। এর পরের বছর তা আরও কমে হবে তিন টাকা ৯৮ পয়সা। অথচ বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৩১ পয়সা। তাই সরকার এখন চাইছে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে, যাতে এই খাতে ভর্তুকি ন্যূনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনা যায়।

দেখা যায়, বিদ্যুৎ খাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা লোকসান ধরে ভর্তুকি রাখা হয়েছিল। চলতি অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করার কারণে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিদ্যুতে লোকসান হয় ছয় হাজার কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ছয় হাজার ৩৫০ কোটি লোকসান হয়েছিল।

নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা কতটুকু?
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের (ফার্নেস তেল) দাম ক্রমাগত কমেছে। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও কমতে শুরু করেছে এক বছর আগে থেকে। তাছাড়া আমাদের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৭২ শতাংশ আসে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে, যে গ্যাসের দাম ২০০৯ সালের পরে অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে একবারও বাড়ানো হয়নি। তাই নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

শেষকথা:
উৎপাদন খরচ যাতে কম পড়ে এজন্য সরকার কম মূল্যের সরকারি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে মনোযোগী হবে, আমরা এমনটাই আশা করি। একইসঙ্গে গ্রাহকের বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো থেকে বিরত থাকবে এমনটা আশা করছি।

প্রকাশ: মার্চ ২০১৬

Leave a Reply

Your email address will not be published.