বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন

স্বাধীনতা লাভের পর পরই বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটে। দেশে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটে এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারপদ্ধতির আওতায়। ১৯৯১ সালে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার পুনঃপ্রবর্তিত হয়। এরপর থেকে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনই সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৩০০ সদস্যের সমন্বয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত। এছাড়াও বর্তমানে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে। জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনের দিন থেকে এই মেয়াদ গণনা শুরু হয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। যদিও পূর্ববর্তী সংসদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এর অধিবেশন বসে। তবে যে কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে, পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। উল্লেখ্য, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি বিশেষ পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। দেশে যুদ্ধ দেখা দিলে সংসদের মেয়াদ অনধিক এক বছর বর্ধিত করা যেতে পারে। সংবিধানের ৭২(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যুদ্ধাবস্থায় ভেঙে যাওয়া সংসদেরও অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন রাষ্ট্রপতি।

স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত দশটি (একাদশ ছাড়া) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিম্নে নির্বাচনসমূহের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:

election

তারিখ: ২০ এপ্রিল ২০১৭

Leave a Reply

Your email address will not be published.