বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন সুনামির অপেক্ষা

গেলো কয়েক মাসে গোটা আরব বিশ্বে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং নজিরবিহিন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। যারা আরব বিশ্ব নিয়ে ভাবছেন এমন সব বিশেষজ্ঞদের গত কয়েক দশকের সকল অনুমান এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অনেক মৈত্রীর সম্পর্ককে ওলটপালট করে দিয়েছে। এই রাজনৈতিক পরিবর্তন এ বছরের (২০১১) মধ্যে শেষ না হলে বিশ্ব অর্থনীতির টেকটোনিক প্লেটেরও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটবে। গোলকায়নের গতিপ্রকৃতিও তৈরি হবে নতুন করে। তবে হ্যাঁ, এখনো পর্যন্ত খোলসটা পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়নি ঠিকই। এজন্য আগামী দিনগুলোতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ওপর তীক্ষè নজর রাখা জরুরি।

খনিজ তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক-এর সম্মেলন প্রতিবছরই দুনিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী কী ঘটবে তা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু আগামী ১১ই জুন অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যে সম্মেলন হবে তাতে লিবিয়ায় বিল্পবের কারণে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বেশি। অবশ্য সৌদি আরব দুনিয়াকে আশ্বস্ত করেছে যে লিবিয়ার এ পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে। এরপরেও হঠাৎ করে এই দাম বাড়ায় নতুন করে তেল সংকট তৈরি করবে। এর সঙ্গে যোগ হবে খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি। খুব দ্রুত গড়ে ওঠা বাজার অর্থনীতিতে পণ্যের চাহিদার তুলনায় কম যোগানের কারণে এটি একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির সতর্ক সংকেতও দিচ্ছে।

এটা ঠিক যে, আরব বিশ্বের এ অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকায় এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে। অর্থনৈতিক মহামন্দায় এসব দেশের অর্থনীতি এখনও ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। মন্দার রেশ কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কম রাখছে। মূল্যস্ফীতি রোধ করতে তাদের কি এখন সুদের হার বাড়ানো উচিত নয়? যদিও তাতে আবার অর্থনৈতিক মন্দা নতুন করে ফিরে আসার আশঙ্কা থাকছে। এটা যদি তারা করে, তাহলে ধীরগতির রফতানি বাজার এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতির বীপরীতে উচ্চ রফতানির বাজারের মাধ্যমে স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে কি? আগামী এপ্রিল মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ তাদের বৈঠকে এই প্রশ্ন দুটির মুখোমখি হবে বলে আশা করা যায়।

মূল্যস্ফীতি, নতুন করে মন্দার প্রশ্ন এবং মুদ্রার মূল্যায়নের বিষয়টি নতুন করে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর বৈঠকে উঠবে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেনÑ চীন এবং এরকম অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী আরও কয়েকটি দেশ নিজেদের মুদ্রা অবমূল্যায়িত করে রাখছে। ইউরোপ, আমেরিকা এবং ব্রাজিলসহ উদীয়মান কয়েকটি শক্তিশালী দেশ চীনের এ মুদ্রা অবমূল্যায়নের ওপর নজর রাখছে কড়াভাবে। এ রাষ্ট্রগুলো মনে করছে, মুদ্রার ওপর চীনের এ হস্তক্ষেপের ফলে বাজারে অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হবে। বিশ্ব বাণিজ্য ভারসাম্যতা হারাবে। পুঁজির প্রবাহ অস্থির করে তুলবে। বেকারত্ব সৃষ্টি হবে এবং বিশ্বব্যাপী সুদের হারেও তারতম্য দেখা দিবে। তৃতীয় বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় বিশ্বব্যাংক এখন এমনিতেই হাসফাঁস করছে। যদিও তাদের জন্য কিছু করার নেই বললেই চলে এ সংস্থাটির। বিশ্ব মুদ্রার হার নির্ধারণ এবং পুজি প্রবাহ ঠিক রাখতে মধ্যস্থতা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কিন্তু এ বিষয়ে তার সক্রিয়তা যথেষ্ট না। আগামী এপ্রিলের বৈঠকে আইএমএফ-এর এ ব্যাপারে কিছু বলার বা করার থাকবে বলেও মনে হয় না। তবে আইএমএফ-এর কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে আগামী নভেম্বরে ফ্রান্সের কেনিসে অনুষ্ঠিত জি-২০ দেশগুলোর ষষ্ঠ বৈঠকে।

আগামী মে, জুন এবং জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা এশিয়ান, সাউদার্ন কমন মার্কেট চুক্তির দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে এবং পূর্ব এশিয়ার নেতৃবৃন্দের বৈঠকে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাবে। এরমধ্যে প্রথমটি, আঞ্চলিক বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তির কেন্দ্র এবং বিশ্ব অর্থনীতির বহু মেরুকরণ বেড়ে যাওয়া। দ্বিতীয়টি, আঞ্চলিক এবং দ্বি-পাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির নাম দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) অধীনে গড়ে ওঠা বিশ্ব বাণিজ্য শক্তি এখন ছোট ছোট খণ্ডরূপ দেখা যাওয়া। কার্যত এ খণ্ডরূপগুলো অগ্রাধিকার মূলক বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে আলাদা কিছু বাণিজ্যিক ব্লক তৈরি করেছে। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমদানি-রফতানি শুল্ক কমিয়ে নিজেদের ভেতর বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতেই এ চুক্তি এবং ব্লক তৈরি হওয়া। শেষ পর্যন্ত আমেরিকানদের চাহিদা পূরণ করাকেই লক্ষ্য ধার্য করে তারা সবকিছু সরবরাহ করে। এটাও ঠিক যে, এ সরবরাহ কোন পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত যে সরবরাহ প্রক্রিয়া তার বাইরে আলাদা কিছু নয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গেলো বছরের ডিসেম্বরে যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওবামা প্রশাসন তা সিনেটে পাশ করানোর চেষ্টা করছে। আমেরিকানরা সে দিকেই তাকিয়ে আছে এখন। কারণ এ চুক্তির ফলে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আমদানি-রফতানি শুল্ক কমে যাবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য বাধাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দূর হবে। এসব বিবেচনায় রেখে মার্কিন প্রশাসন ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এই চুক্তির ব্যাপারে খুবই জোর দিচ্ছে। তাদের যুক্তি হলোÑ এতে আমেরিকার চাকুরির বাজার এবং রফতানি দুটোই বাড়বে। কারণ তারা জানে এসব ক্ষেত্রে আমেরিকার তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ার বাধা অনেক বেশি এবং ব্যাপক। আমেরিকার সিনেটে এ চুক্তি পাশ হবে হবে কিনা তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। যাই হোক, আমেরিকার শ্রমিক সংগঠন এবং কোম্পানিগুলো প্রধানত আমেরিকার জন্যই পণ্য উৎপাদন করে। তাই বলা যায়, এর বীপরীতে এটি মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি এবং চাকুরির দাম বাড়াবে। সিউল থেকেও বাধা আছে। তা হলোÑ স্থানীয় উৎপাদক শ্রেণি  কোন ধরনের আলোচনায় না বসাটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে এ মূহুর্তে। দক্ষিণ কোরিয়া মনে করছেÑ এ চুক্তির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ বাড়বে।

কলোম্বিয়া ও পানামার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটা কমত। কিন্তু সেটি এ বছরে আর হবার নয়। কারণ আমেরিকার ট্রেড ইউনিয়ন, এনজিও ও মানবাধিকার কর্মীরা বিরোধিতা করছে এ মুক্তবাণিজ্য চুক্তির। কলোম্বিয়ার কিছু ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী খুন হওয়ায় এ বিরোধিতা।

আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক চুক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে তাকালে সবচেয়ে ভাল বোঝা যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বড় বড় উন্নয়ন এ সব চুক্তির ভিতর দিয়েই ঘটেছে। কিন্তু এখনকার সমস্যা হল গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডের অর্থনৈতিক সংকট। তার সঙ্গে পর্তুগাল, স্পেন ও ইতালি সংকটে পড় পড় অবস্থায় আছে। এ অবস্থা দেখে বলা যায় যে, একটি একক মুদ্রা হিসেবে ইউরো তার কার্যকারিতা হারাতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিকেন্দ্রীকরণও ব্যর্থ হতে পারে। যতদূর লক্ষ করা যায়, এ সংকট থেকে উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা চেষ্টা করেছে। বিশাল অংকের অর্থের ছাড় দিয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর ভেতরে রাজস্ব পরিবর্তনের চুক্তি এবং অর্থ ফেরত দেয়ার শর্তাশর্তের ব্যাপারে অনেক বার বৈঠক করেছে। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও পুরো ইউরোপে পাল্লা দিয়ে মুদ্রা অবমূল্যায়ন ও বেকারত্বের হার বেড়েই চলছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোটা হলো এরকম যে, জার্মানি সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং রফতানি করছে। আর এর কাছাকাছি প্রায় সকল দেশ এসব আমদানি এবং ভোগ করছে। জার্মান বাদ দিলে বাকি ইউরোপের বিকাশ ঘটাতে কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে এ সমস্যা দূর হবে তখন, যখন ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো বেশি বিনিয়োগ ও রফতানি করবে। কারণ, জার্মানি তখন তুলনামূলক কম ভোগ এবং রফতানি করবে। ভোগের মাত্রাও তুলনামূলক কমবে তখন। এই যে পদ্ধতিটি জার্মানি ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো থেকে এগিয়ে থাকতে পছন্দ করছে, তা পরিবর্তনের আগ্রহ তাদের আপাতত নেই। এটা আগে থেকেই জার্মানি পরিষ্কার করেছে। এতে বোঝা যায় একটা উপায়ে ইউরো টিকে থাকতে পারে। তা হলো জার্মানিকে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে রফতানি করা যায় এমন পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

আগামী নভেম্বরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হবে। তা হলো- তিন থেকে চার নভেম্বর ফ্রান্সের ক্যানিসে জি-২০ সম্মেলন। আর অন্যটা হলো আট থেকে ১৩ নভেম্বর আমেরিকার হাওয়াই দীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় শহর হুনুলুলতে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগী সংস্থা বা এপেক সম্মেলন। এসব বৈঠকে সেই দু হাজার এক সালে কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হওয়া দশ বছরের পুরানো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা দোহা রাউন্ড নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এ আলোচনা আস্তে আস্তে তার গুরুত্ব ধরে রাখতে পারছে না। এরকম আলোচনা আরও অনেক হলেও কোনো কাজে আসবে না। কারণ, যেখানে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সেবা ও বিনিয়োগ বাজারের ওপর উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কৃষি বাজার নির্ভর করছে। সেখানে এরকম আরও অনেক আলোচনা হলেও কি, না হলেও কি?

যেখানে দুনিয়ার অর্থনীতির যে সকল অনিশ্চিত ও গুরুত্বহীন বিষয়াবলী নিয়ে অন্যান্য সংস্থাগুলো আলাপ-আলোচনা বাদ দিয়েছে, সেখানে এখন জি-২০ সম্মেলনের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে সেগুলো। অথচ এ সময়ে এসে গোলকায়ন কেবল বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাপনার ভিতরে সীমিত না। অনেকটা এর বাইরে চলে গেছে। গোলকায়নকে টেকসই করার ব্যাপারেও আলোচনা উঠতে পারে আগামী জি-২০ সম্মেলনে। আমেরিকার জন্য অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব এবং এসব সামলে ওঠা যখন অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে, তখন গোটা অর্থনৈতিক দুনিয়া আমেরিকায় তাদের পণ্য রফতানি কওে বেকারত্ব ঘোচাতে চেষ্টা করছে। কারণ ক্রেতা হিসেবে বাকি দুনিয়ার কাছে আমেরিকাই শেষ ভরসা। কিন্তু এর ঘাটতি বাজেট, সর্বব্যাপী ঋণগ্রস্ত হওয়া এবং যেখানে প্রায় ১৭ শতাংশ বেকারত্ব বিরাজ করছে – ঠিক সেখানে আমেরিকার ভূমিকা আর এমন কী হতে পারে? অথচ এর পাশাপাশি বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনিশ্চয়তার ভেতরে। একইভাবে চীন ও অন্যান্য উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির দেশগুলোর উচ্চ বিনিয়োগ, কম ভোগ এবং মুদ্রা অবমূল্যায়ন করে রাখার ব্যাপারটিও এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। কেউ  কেউ সন্দেহের সুরে বলছেন এ অবস্থাটি ভাসাভাসা টিকে থাকতে পারে। অথচ গৃহস্থালী সঞ্চয় হার যখন দ্বিগুণ হয়ে গেছে, তখন আমেরিকা এ ঘাটতি বাজেটের একটা স্থায়ী সমাধান খুঁজছে। আমেরিকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও আমেরিকাভিত্তিক উৎপাদন সুবিধার জন্য অনেক বড় বিনিয়োগের দরকার। এজন্য চীনের মুদ্রা ইউয়ান, এশিয়ার অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় আমেরিকান ডলারের কমপক্ষে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ অবমূল্যায়ন করতে হবে। তবে ব্যতিক্রম হলো ইউরোর তুলনায় এটাকে কম অবমূল্যায়ন করতে হবে। এবং সবচেয়ে বেশি সঞ্চয় করা মুদ্রার অবস্থান থেকে ডলারকে এভাবে মুক্তি দিতে হবে।

একইভাবে জার্মানি, চীন, জাপান এবং পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান শক্তিগুলো তাদের ভোগের পরিমাণ বাড়াবে এবং সঞ্চয়, বিনিয়োগ, উৎপাদন ও রফতানির পরিমাণ কমাবে, যখন তাদের মুদ্রা পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তাই বলা হচ্ছে, ভবিষ্যত বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন করে আরেকটি সুনামি অপেক্ষা করছে, যেটা বিশ্বায়নের নতুন আকার দাঁড় করাবে।
(ফরেন পলিসি অবলম্বনে)

রাজনৈতিক ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০১১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *