পৃথিবীর এই বিশালতায় মানুষ হিসেবে আমরা অতি ক্ষুদ্র। আবার এই ক্ষুদ্র মানুষেরাই পৃথিবীর বিশালতার প্রমাণ দিচ্ছে। আমরা জানি, জগতের সকল সৃষ্টিই মানুষকে ঘিরে আবর্তিত হয়। তাই মানুষের টিকে থাকার সাথেই পৃথিবীর অস্তিত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
জলে, স্থলে কিংবা আকাশে যেখানেই থাকি না কেন আমরা মানুষেরা সবাই একই পৃথিবীর একই আকাশের ছায়ায় বাস করি। কিন্তু একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থাই মানুষের মনুষত্ব কিংবা ব্যক্তির ইতিবাচক বা নেতিবাচক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। যে কারণে একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি/বিশ্বাস হয় একেক রকম। মানুষের মধ্যে কেউ কেউ কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে তার সৃষ্টিশীল রচনা ও কীর্তি দ্বারা চলে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কৃতীমান এসব ব্যক্তি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকেন বছরের পর বছর। তাই বলতেই হয়- ভালো কিছু করার মধ্যেই জীবনের মূল উদ্দেশ্যে নিহিত।
মানুষের মধ্যে কেউ কেউ ধরণীর তরে আসে, আবার পরপারে চলে যায় এক সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্য দিয়েই। জীবনের বিভিন্ন বাঁকে চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাওয়া এসব মানুষেরা বাঁধাগ্রস্ত হয় প্রতিটি বাঁকে বাঁকে। বলি, যদি ব্যক্তি তার গুণকে, তার স্বীয় সত্তাকে সুন্দর এবং মহৎ গুণাবলীর দ্বারা মহিমান্বিত না করতে নাই পারলো–তবে কী লাভ পৃথিবীতে এই আসা ও চলে যাওয়ায়? তাই বলতেই হয়, অন্তসার বেঁচে থাকার মানে হয় না কোনো।আসুন, নিজেকে বিকশিত করি, ব্যক্তি হয়ে উঠি। কিছু একটা করে দেখাই– নিজের, পরিবারের ও সমাজের কল্যাণের জন্য।
প্রকাশ: জুলাই ২০০৭