বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: প্রয়োজন পররাষ্ট্র্রনীতির ভারসাম্য

২০১০ সালে চীন জাপানকে অতিক্রম করে দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলেছে, ২০১৬ সালেই মার্কিন অর্থনীতিকে ছুঁয়ে ফেলবে চীনা অর্থনীতি। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও চীন তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮% গতি ধরে রাখতে পেরেছে। বিস্ময়কর ও দ্রুতগতির এই প্রবৃদ্ধির হার দেশটিকে একটি শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি দিয়েছে। বৃহৎ ও শক্তিশালী অর্থনীতির এ দেশটি বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং পরীক্ষীত বন্ধু রাষ্ট্র। দেশটি অতীতে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও প্রতিরক্ষানীতিতেও তৈরি হতে পারে ভারসাম্য।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চীন পাকিন্তানের পক্ষাবলম্বন করে। যে কারণে দীর্ঘ সময় পর ১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের সাথের চীনের প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফর এবং চীনের সাবেক প্রধামন্ত্রী চৌ এন লাইয়ের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়েই দু দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়। এরপর সামরিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পর্কের উন্নয়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় – যাকে বিশ্লেষকরা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সম্পর্ক বলে মন্তব্য করতেন।

ভৌগোলিকভাবে চীন বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশি। বাংলাদেশ-চীন সীমান্তের ১০০ কিলোমিটার ভারতীয় এলাকা দেশ দুটিকে পৃথক করেছে। স্বাধীনতার পর ভারতের বিভিন্ন বিভিন্ন নেতিবাচক আচরণ লক্ষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সাল থেকে সতর্ক হয়ে যান। প্রথম অবস্থায় ভারতকে বিশ্বাস করে বেরুবাড়ি প্রদান ও ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে ভারতের পক্ষ থেকে তাকে চাপ দেয়া সত্ত্বেও তিনি গ্যাস চুক্তি করেননি। ভারতকে অনেকটা উপেক্ষা করেই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সফর করেন লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও শুধুমাত্র ভারত নির্ভর নীতি পরিবর্তন করে মুসলিম বিশ্ব ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তখন তাঁর প্রাচ্য নীতিতে চীন সঙ্গত কারণে প্রাধান্য পায়। ১৯৭৭ সালের ৩ জানুয়ারি জিয়াউর রহমান চীন সফর করেন। এ সময় বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। ১৯৭৮ সালে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লি জিয়ানিয়ান বাংলাদেশ সফরে আসেন। এ সময় দুটি দেশের মধ্যে প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত দুটি চুক্তি সই হয়। ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান আবার চীন সফর করেন।

১৯৮৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সভাপতি পদে বাংলাদেশের হুমায়ুন রশিদ চেীধুরীর নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে চীন প্রতক্ষভাবে সহযোগিতা করে। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যেই (জুনে) বেগম খালেদা জিয়া চীন সফরে যান। একইভাবে ১৯৯৬ সালের জুনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দু মাসের মাথায় (সেপ্টেম্বরে) চীন সফরে যান। ২০০১ সালের অক্টোবরে ঢাকা সফর করেন তৎকালীন চীনা প্রধানমন্ত্রী জু রং জি। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে পূর্বমুখী কূটনীতি (খড়ড়শ ঊধংঃ চড়ষরপু) গ্রহণ করে। এর উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধা অর্জন করা। তবে এ নীতির খুব একটা কার্যকারিতা দেখা যায়নি।

২০০২ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত বেগম জিয়া পুনরায় চীন সফর করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সর্ম্পকের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও বাংলাদেশ সফরে আসেন। সে সময় বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে সম্মত হয়। তবে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটে। বাংলাদেশে তাইওয়ানের ট্রেড অফিস খোলায় চীন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ফলে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়।

২০১০ সালের ১৭ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে চীন গেলে দু দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। কূটনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেই সফর ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরে চীনের সঙ্গে তিনটি চুক্তি সই হয়। চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা চুক্তি, শাহজালাল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সার কারখানা স্থাপন এবং সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ চুক্তি।

মূলত বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বিভিন্ন নেতিবাচক আচরণের জন্যই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হয়েছে। বিশেষ করে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার তাগিদে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দানের ক্ষেত্রে চীন প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে আটটি ব্রিজ তৈরিতে সহায়তা করেছে, কৃষি ক্ষেত্রেও সহায়তা দিচ্ছে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র অনেকটা তাদের খরচেই করে দিয়েছে। সর্বোপরি সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বিরোধ তা প্রায় নৌ-যুদ্ধের পর্যায়ে চলে যাচ্ছিল। চীন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে মিয়ানমারকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সুরাহা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং মিয়ানমারকে নৌবাহিনী প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে।

চীন-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়টিও যথেষ্ট শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। চীন বর্তমানে বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীকে সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহকারী প্রধান দেশগুলোর অন্যতম। অধিকাংশ ট্যাংক (টি-৫৯, টি-৬২, টি-৬৯ এবং টি-৭৯), সৈন্য চলাচলকারী যানবাহন, গোলন্দাজ বাহিনীর সরঞ্জামাদি এবং সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত ছোট ও ব্যক্তিগত অস্ত্রাদির প্রায় সবই চীনের তৈরি। চীন বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও অন্যতম প্রধান সরঞ্জামাদি সরবরাহকারী দেশ। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে চীন যা সরবরাহ করেছে সেসবের মধ্যে রয়েছেÑ ০৫৩ এইচ, ১ জিংঘু, ১ ক্লাশ ফ্রিগেটস, যার মধ্যে রয়েছে ৪ এইচওয়াই-২ ক্ষেপণাস্ত্র, হুয়াং দেং ক্লাশ ক্ষেপণাস্ত্র তরি, টাইপ ০২৪ ক্ষেপণাস্ত্র তরি, হুচুয়ান ও পি-৪ ক্লাশ টর্পেডো যান, হাইনান ক্লাশ সাব ক্যাশার, সাংহাই ক্লাশ রণতরী এবং ইয়াচিন ক্লাশ এলসিইউ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ চীনের কাছে ১৬টি চীন নির্মিত এফ-৭ বিজি যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০০৬ সাল থেকেই এইসব বিমানের চালান আসতে শুরু করেছে। দু দেশের মধ্যে সমরাস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং সামরিক শিক্ষা কর্মসূচি বিনিময় প্রশ্নে নিয়মিত এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপকভিত্তিক সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও  চীন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দু দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। ভারতকে পেছনে ফেলে চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০২ সালে ছিল ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০০৮ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বর্তমানে চীন বাংলাদেশের পণ্য আমদানির প্রধান উৎস হলেও বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর তথ্যমতে, ২০০৯ সালের এপ্রিল-জুন সময়কালে চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেলেও একই সময়কালে চীনে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের সামান্য কিছু বেশি। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে চীন এরই মধ্যে বেশকিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এরফলে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসছে। তবে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দু দেশের সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।

চীন কারিগরি দিক থেকে উন্নত রাষ্ট্র। দেশটি যদি বাংলাদেশে তার কারিগরি সহায়তার হাত বাড়ায় তাহলে তা আমারের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে। ফসল উৎপাদন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চীন আগ্রহী হলে এ দেশের অনেক সমস্যাই দূর করা অসম্ভব হবে না। পাশাপাশি চীনের অর্থনৈতিক সুবিধা দেশের কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে পারলে (বিশেষত সড়ক নির্মাণ, রেলওয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ সুনিশ্চিতকরণ) বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের সারিতে নিজেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারে। চীনা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, তথ্য প্রযুক্তি, কৃষিজাত, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পর্যটন, হোটেল, তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং অটোমোবাইল ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে হলে দু দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ, তথা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং থেকে বিমানে বাংলাদেশ মাত্র দু ঘণ্টার পথ এবং সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল একটি বাজারের সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের সঙ্গে সড়ক পথে বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজে যোগাযোগ স্থাপিত হতে পারে চট্টগ্রাম-গুয়ানধুম-মিয়ানমার রুট দিয়ে। চীনের ইউনান থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুততম সড়ক যোগাযোগের পথ হতে পারে কুনমিং-চট্টগ্রাম রুটে। এই পথটি চালু হলে চীনে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ বাণিজ্যের অপার সুযোগ তৈরি হবে। কুনমিং-চট্টগ্রাম সড়ক সংযোগ প্রকল্পটির ব্যাপারে ২০০৫ সালেই বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারও দু দেশের মধ্যে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়ে ২০০৭ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিতব্য এই সংযোগ সড়কটির বেশিরভাগই মিয়ানমার অংশে এবং বাংলাদেশ অংশে পড়বে মাত্র ২ কিলোমিটার। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা এই সড়কটির মাধ্যমে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার বিষয় নিয়ে ২০০৯ সালের মে মাসে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন। ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক পথ বাংলাদেশের জন্যে চীন ও মিয়ানমার তথা পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

বাংলাদেশ সরকার এখনও আশা করে যে, বাংলাদেশ ও কুনমিং-এর মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চীনা সরকার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সর্ম্পকের প্রতি বিশেষ নজর রাখে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিকভাবে ভালো বন্ধু এবং সমরাস্ত্রের যোগানদাতা রাষ্ট্র হিসেবে চীনের প্রতি বাংলাদেশের সহানুভূতি সবসময়ই রয়েছে। যে কারণে মহাজোট সরকার বেইজিং এবং দিল্লির মধ্যে সর্ম্পকের একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে তৎপর রয়েছে।

রাজনৈতিক ডটকম (একটি অনলাইন ম্যাগাজিন), ২৫ ফেব্র“য়ারি ২০১১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *